মূলভাব: কোনাে অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি যদি তার চেয়েও বেশি অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে বা তার
কথা চিন্তা করে তবে ওই ব্যক্তির অভাববােধ লাঘব হয়।
সম্প্রসারিত ভাব: আপন সুখের জন্য মানুষ দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটনের মোকাবেলা করে। অভাব দূর করতে না পারলে মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কিন্তু অতৃপ্ত ব্যক্তি যদি চোখ খুলে অপরের অভাব-অনটনের করুণ দৃশ্য দেখে এবং নিজের অবস্থার সাথে তার তুলনা করেন। তাহলে অতি সহজেই মনের ক্ষোভ দূর হয়ে যায়। এ জগতে অগণিত লােক দুঃখ-দুর্দশার শিকার। দুঃখ-যন্ত্রণা নেই এমন একজনকেও হয় তাে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কেউই সুখী নয়। ধনী চায় আরাে ধনী হতে, মানী চায় আরাে সম্মান অর্জন করতে অভাবের রাহুগ্রাস থেকে কেউ তার মুক্ত নয় এবং সুখীও নয়। কারণ, সকলের মধ্যেই রয়েছে অভাব মেটানাের জন্য আকুলতা, ব্যস্ততা। কিন্তু অন্যের দুঃখের দিকে তাকালে নিজের দুঃখের জ্বালা সহজেই দূর হতে পারে। জগতে সবাই প্রায় আত্মকেন্দ্রিক। নিজের সুখের চিন্তায় সবাই বিভাের। নিজের স্বার্থ কিভাবে উদ্ধার হবে, কিভাবে নিজের আরাে ভালাে হবে এটাই আদের ভাবনা। কিন্তু তারা যদি নিজের অভাবটাকে বড় করে না দেখে অপরের অবস্থার দিকে তাকান, তাহলে না পাওয়ার বেদনা তাদেরকে আর কাবু করতে পারে না। পায়ে জুতা না থাকায় কারাে মনে দুঃখ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে যদি যার পা নেই এমন লােকের দুঃখের কথা কল্পনা করে তখন জুতা না থাকার ক্ষোভ মুহূর্তেই তার অন্তর থেকে বিদূরিত হয়। দুঃখ-কষ্টের সংসারে জীবনযাপনের সময় নিজের কতটুকু আছে এবং যে আমার চেয়ে দীন-হীন তার কতটুকু আছে সেটির তুলনামূলক বিচার করতে হবে। তাহলেই নিজের মনের দুঃখ-ক্ষোভ অনেকাংশেই লাঘব হবে।
মন্তব্য: মানুষকে নিজের চারদিকে তাকিয়ে অন্যের বৃহৎ দুঃখ দেখে নিজের ক্ষুদ্র দুঃখের কথা তুলতে হবে। তাহলেই মনে শান্তি আসবে।
সম্প্রসারিত ভাব: আপন সুখের জন্য মানুষ দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটনের মোকাবেলা করে। অভাব দূর করতে না পারলে মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কিন্তু অতৃপ্ত ব্যক্তি যদি চোখ খুলে অপরের অভাব-অনটনের করুণ দৃশ্য দেখে এবং নিজের অবস্থার সাথে তার তুলনা করেন। তাহলে অতি সহজেই মনের ক্ষোভ দূর হয়ে যায়। এ জগতে অগণিত লােক দুঃখ-দুর্দশার শিকার। দুঃখ-যন্ত্রণা নেই এমন একজনকেও হয় তাে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কেউই সুখী নয়। ধনী চায় আরাে ধনী হতে, মানী চায় আরাে সম্মান অর্জন করতে অভাবের রাহুগ্রাস থেকে কেউ তার মুক্ত নয় এবং সুখীও নয়। কারণ, সকলের মধ্যেই রয়েছে অভাব মেটানাের জন্য আকুলতা, ব্যস্ততা। কিন্তু অন্যের দুঃখের দিকে তাকালে নিজের দুঃখের জ্বালা সহজেই দূর হতে পারে। জগতে সবাই প্রায় আত্মকেন্দ্রিক। নিজের সুখের চিন্তায় সবাই বিভাের। নিজের স্বার্থ কিভাবে উদ্ধার হবে, কিভাবে নিজের আরাে ভালাে হবে এটাই আদের ভাবনা। কিন্তু তারা যদি নিজের অভাবটাকে বড় করে না দেখে অপরের অবস্থার দিকে তাকান, তাহলে না পাওয়ার বেদনা তাদেরকে আর কাবু করতে পারে না। পায়ে জুতা না থাকায় কারাে মনে দুঃখ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে যদি যার পা নেই এমন লােকের দুঃখের কথা কল্পনা করে তখন জুতা না থাকার ক্ষোভ মুহূর্তেই তার অন্তর থেকে বিদূরিত হয়। দুঃখ-কষ্টের সংসারে জীবনযাপনের সময় নিজের কতটুকু আছে এবং যে আমার চেয়ে দীন-হীন তার কতটুকু আছে সেটির তুলনামূলক বিচার করতে হবে। তাহলেই নিজের মনের দুঃখ-ক্ষোভ অনেকাংশেই লাঘব হবে।
মন্তব্য: মানুষকে নিজের চারদিকে তাকিয়ে অন্যের বৃহৎ দুঃখ দেখে নিজের ক্ষুদ্র দুঃখের কথা তুলতে হবে। তাহলেই মনে শান্তি আসবে।
Post a Comment