নামাজ মানুষকে পাপ ও অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রেখে চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। আর
সচ্চরিত্রবান মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে। নামাযের মাধ্যমে মানুষ
আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে থাকে। নামায হলাে মুমিনের জন্য মিরাজ। তাই নামাযের
মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে সক্ষম হয়। নামায মানুষকে শিষ্টাচারী করে
তােলে। রাসূল (স) বলেছেন, "যে ব্যক্তির নামায সুন্দর তার কথাবার্তা, চালচলন, আচার-
ব্যবহার সুন্দর।" নামায মানুষকে ধৈর্যশীল ও বিনয়ী করে তােলে। তাই সে হয় অত্যন্ত
সামাজিক। নামাযে ধনী-গরিব, আমীর-ফকির একই কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে
মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে মস্তক অবনত করে। নামায মানুষের মাঝে উঁচু-নীচু ভেদাভেদ দূর
করে একই ভ্রাতৃত্বের কাতারে এনে দেয়, মানুষের মধ্যে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সৃষ্টি হয়। নামায
মানুষের মধ্যে সাম্য-মৈত্রী প্রতিষ্ঠা করে। নামাযে কৌলীন্যবােধ, ধনী-গরিব ও সামাজিক
শ্রেণি বৈষম্যের অবকাশ নেই। তাই নামায মানুষের মাঝে ভেদাভেদ দূর করে সমাজে সাম্য
ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে। নামাযের মাধ্যমে মানুষ সামাজিক শৃঙ্খলাবােধ ও নিয়মানুবর্তিতার
বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। দৈনিক নির্দিষ্ট পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়কারীর মধ্যে
শৃঙ্খলাবােধ ও সময়ানুবর্তিতার সৃষ্টি হয়। এতে তার মাঝে সামাজিক কর্তব্যবােধ সৃষ্টি হয়
এবং নেতার আনুগত্য বা নেতৃত্বদানের গুণ লাভ হয়। রােগমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান নাগরিকের
মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে। আর নামায হলাে সুস্বাস্থ্যের জন্য সর্বোত্তম ব্যায়াম। যা
রােগ-প্রতিরােধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনয়ন করে। নামায মানুষকে
কর্তব্যবােধ, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, নিয়মানুবর্তিতা, একতা ও শৃঙ্খলা, নেতৃত্বদান ও নেতার
আনুগত্য ইত্যাদি বহু মহৎ গুণের শিক্ষা দিয়ে থাকে।
Post a Comment