চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ।
মূলভাব:
চরিত্র অমূল্য সম্পদ। উন্নত চরিত্রের মানুষ সমাজের শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। চরিত্রহীনতার মধ্যে মনুষ্যত্ব বলে কিছু নেই। তাই চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর পর্যায়ে চলে যায়। চরিত্রের চেয়ে মূল্যবান জিনিস পৃথিবীতে আর নেই। সম্প্রসারিত ভাব: চরিত্র মানব জীবনের মুকুটস্বরূপ। এটি অমূল্য সম্পদ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। মানব জীবনের সার্থকতা চরিত্রের ওপরই নির্ভর করে। উন্নতি, অবনতি, সুখ-দুঃখ সবই চরিত্রের ভালো-মন্দের ওপর নির্ভরশীল। সত্যনিষ্ঠা, আত্মসংযম, শ্রদ্ধা, ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি চরিত্রের প্রকৃষ্ট সদগুণাবলি মানব জীবনকে সমৃদ্ধ করে, করে অলঙ্কারমণ্ডিত। পাশাপাশি চরিত্রহীনতা জীবনে অভিশাপ বয়ে আনে, বয়ে আনে ধ্বংস ও ক্ষতি। চরিত্রহীন ব্যক্তির দুর্ভোগের শেষ নেই। মানসিক যন্ত্রণা তাকে শেষ করে দেয়। বিবেকের তাড়নায় সে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তাই চরিত্রহীনতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য এবং একে এড়িয়ে চলা সকলের একান্ত কর্তব্য। মহামানবদের গৌরবের মূলে রয়েছে তাদের মহৎ চরিত্র। চরিত্রবান ব্যক্তি উদার, বিনয়ী, সত্যবাদী, জ্ঞান-তাপস, ন্যায়বান ও স্বাধীনতাকামী। চরিত্রই মানুষের জীবনকে উজ্জ্বল ও মহান করে তুলতে পারে। একমাত্র চরিত্র বলেই মানুষ জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়। সুতরাং চরিত্রই মানুষের মূল্যবান সম্পদ।
মন্তব্য: মানব জীবনে চরিত্রের মতো বড় অলঙ্কার আর নেই। চরিত্রবলেই মানুষ পৃথিবীকে তার আয়ত্তে আনতে পারে। যার চরিত্র নামের এ মহামূল্যবান সম্পদ নেই, সে হতভাগা।
Post a Comment