বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
মূলভাব: বিশ্বে সৃজনশীল সকল কিছুতে মানবের যত অবদান আছে, মানবীর অবদানও
তার চেয়ে কোনাে অংশে কম নয়; বরং উভয়ের অবদান সমান। তাই মর্যাদার দিক দিয়েও
পুরুষ-নারী উভয়ে সমান। সম্প্রসারিত ভাব: আধুনিক পৃথিবীতে মানুষ অনেক সৃজনশীল কর্ম সাধন করেছে। পৃথিবীর আদিম অবস্থা থেকে বর্তমান আধুনিকতার সার্বিক বিকাশ সাধন করেছে তারা। এসব কাজে পুরুষ-নারী উভয়ের অবদান সমমর্যাদাসম্পন্ন। তাই পুরুষকে সকল কাজের কাজি হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়। কারণ আধুনিক বিশ্বের সভ্যসমাজ বিনির্মাণে নারী পুরুষ উভয়েরই অবদান রয়েছে। মহান আল্লাহ পুরুষ ও নারী এই দুয়ে ভাগ করে সমানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ-নারী পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। তাই নারী বা পুরুষকে বাদ দিয়ে এককভাবে কারাে পক্ষে বিশ্বের উন্নয়ন সাধন সম্ভব নয়। বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, গণিত, ধর্মসহ সকল বিষয়ে পুরুষের পাশাপাশি নারী জাতিরও অবদান রয়েছে। তাই উন্নয়নের সকল পর্যায়ে নারী-পুরুষের শক্তি-সামর্থ্যের সমন্বিত প্রয়ােগে বিশ্ব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হবে। এখানে কোনাে ভেদ বৈষম্য ঠিক হবে না।
মন্তব্য: মানবীয় মর্যাদার দিক থেকে নারী পুরুষ উভয়ই সমান। কেউ কারাে ওপর অধিক মর্যাদার দাবিদার নয়। কুরআনে তাই বলা হয়েছে, স্ত্রীদের ওপর যেমন তােমাদের অধিকার আছে, তােমাদের উপরও স্ত্রীদের তদ্রপ অধিকার আছে।
Post a Comment