বর্ষণমুখর দিনে আকাশ মেঘে আচ্ছাদিত থাকে। সূর্য দেখা যায় না। চতুর্দিকের পরিবেশকে
নিষ্প্রভ ও নিরানন্দ মনে হয়। সারাদিন বিরামহীনভাবে মুষলধারে অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
হতে থাকে। সাথে থাকে মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝিলিক এবং প্রচণ্ড বাতাস। নদী, খাল
এবং পুকুর পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়; পথ-ঘাট কাদাময় ও জলমগ্ন হয়ে পড়ে; ছাতা মাথায়
দিয়ে পথচারীদের খুব যত্ন ও সতর্কতার সাথে পথ চলতে হয়। সকল কাজকর্ম বন্ধ হয়ে
যায়। ছাত্ররা স্কুল-কলেজে যেতে পারে না এবং যে অল্পসংখ্যক ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যায়
তারা সম্পূর্ণ ভিজে যায় এবং বৃষ্টির জন্য স্কুল ছুটি হলে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফিরে আসে।
শ্রমিক এবং দিনমজুররা বর্ষণমুখর দিনে খুব অসুবিধায় পড়ে। তারা জীবিকার জন্য বাইরে
যেতে পারে না। অন্যদিকে টিনের ছাদে এবং জানালার শাসর্সিতে বৃষ্টির শব্দ মানুষের মনে
কবি-ভাব এনে দেয়। যদিও বাদল দিনে বাড়িতে কারাবাসের মতাে মনে হয় তথাপি এ
দিনের এক ধরনের আনন্দ রয়েছে।
Post a Comment