মানুষ নিজ নিজ স্থানের কাজকর্ম সহজেই করতে পারে। কিন্তু বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে
প্রত্যেকেই গরম আবহাওয়ায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়। বিদ্যুতের অভাবে একজন ছাত্র
মােমবাতির আলােতে পড়া শুরু করে এবং ঘামতে থাকে। একজন মায়ের পক্ষে শিশুর
পরিচর্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে রােগীদের অপারেশন ও পরিচর্যা বন্ধ হয়ে
যায়। বাজার ও দোকানসমূহ থেকে চোর ও ছিনতাইকারীরা মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে যাওয়ার
সুযােগ পায়। বিদ্যুৎ থাকলে জনসাধারণ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম সেরে সকাল পর্যন্ত
ঘুমাতে পারে। কিন্তু প্রায়ই মধ্যরাতে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং এতে মানুষের ঘুমের মারাত্মক
ব্যাঘাত ঘটে। তারা পরদিন ভােরে তাড়াতাড়ি উঠতে পারে না। এর ফলে প্রতিটি কাজে
তারা দেরি করে এবং অস্বস্তিবােধ করে। গ্রীষ্মের রাতে গ্রামের পুরুষ লােকেরা প্রায়ই খােলা
জায়গায় রাত কাটায় এবং মায়েরা সকাল পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের তালপাতার পাখা দিয়ে
বাতাস করে। সকালবেলা তারা ক্লান্ত শরীর ও নিদ্রালু চোখে কুড়েঘর থেকে বেরিয়ে আসে।
শীতপ্রধান দেশে গ্রীষ্মের রাত আশীর্বাদস্বরূপ। যা হােক, মানুষ গ্রীষ্মের দিন ও রাতকে
উদার সূর্যালােক ও গরম বাতাসের বাহক হিসেবে অভিনন্দন জানায়।
Post a Comment