যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত, রােযা তাদের অন্যতম। মুক্তাকী হওয়ার প্রধান
গ্রশিক্ষণ রােযা। রােযার মাধ্যমে আত্মসংযম, আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করে
মানুষ প্রকৃত ঈমানদার হিসেবে গড়ে ওঠে। রোযাদার ব্যক্তি যাবতীয় পাপাচার ও পানাহার
হ দূরে থাকে। ক্ষুধা, তৃষ্ণায় কাতর হয়েও মহান আল্লাহর ভয়ে পানাহার গ্রহণ করা
থে বিরত থাকে। এতে তার মধ্যে তাকওয়া বা খােদাভীতি সৃষ্টি হয়। চরিত্র গঠনে
রােযা ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রােযাদার ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায় ও
পাপাচার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়। ফলে সে
সচ্চরিত্রবান হয়ে ওঠে। রােয়াদার ব্যক্তি উপবাসের দ্বারা দরিদ্রের অনাহারের কষ্টি উপলব্ধি
করতে সক্ষম হয়। এতে ধনী-দরিদ্রের মাঝে ভ্রাতৃত্ববােধ ও সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়। আল্লাহর
নির্দেশ পালনে ধনী-দরিদ্র সকলকে রােযা পালন করতে হয়। এতে প্রমাণিত হয়, আল্লাহর
হুকুম পালনে সবাই সমান। এটা সাম্য প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। রােযা মানুষের মধ্য
থেকে লােভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, মিথ্যা-প্রতারণাসহ যাবতীয় পাপাচার দূর করে আদর্শ
জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ করে। এভাবেই রােযাদার ব্যক্তি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
থদদদদ
ReplyDeletePost a Comment