সচ্চরিত্র। যার মধ্যে এ গুণগুলাে বিদ্যমান, তাকেই সচ্চরিত্রবান বলা হয়। মানুষের মধ্যে
সমাজ ও নিজেকে কলুষিত করার মতাে কতকগুলাে খারাপ দিক রয়েছে, সেগুলােই
অসচ্চরিত্র। যাবতীয় পাপাচার-অনাচারের প্রকাশ ঘটে চরিত্রহীন ব্যক্তির দ্বারা। অসচ্চরিত্রের
লােকেরা সমাজের কলঙ্ক। সমাজে সে ঘূণিত শয়তান। চরিত্রবান ব্যক্তির সামাজিক মূল্য
সবার উপরে। প্রাচীনকালে একজন রাজা অপেক্ষা একজন সাধু পুরুষের সম্মান বেশি ছিল।
কিন্তু বর্তমানে সৎ চরিত্রের খুব একটা মূল্যায়ন হচ্ছে না। অসৎ চরিত্রের মূল্যায়নই যেন
বর্তমান সমাজে অগ্রগণ্য। তথাপি অসৎ চরিত্রের লােক আত্মগ্লানিতে ভােগে। তার নৈতিক
ভিত্তি দুর্বল। প্রকৃত অর্থে, একজন চরিত্রহীন ব্যক্তির জীবন বৃথা। সে মানব সমাজের
কলঙ্ক। তাকে কেউ ভালােবাসে না। তারই আশ্রয়ে সমাজে নানা অনাচারের প্রসার ঘটে।
তাই সকলে তাকে ঘৃণা করে। মানুষের পারিপা্শ্বিক অবস্থার ওপর তার চরিত্রগঠন নির্ভর
করে। তাই চরিত্র গঠনের জন্য বা নিজেকে চরিত্রবান করে গড়ে তােলার জন্য শৈশবই
চরিত্র গঠনের প্রকৃষ্ট সময়। তাই এ সময় থেকেই শিশুদের সত্যবাদিতা, আত্মসংযম,
আত্মবিশ্বাস, দয়া, ক্ষমা প্রভৃতি সদগুণের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
Post a Comment