অতুলনীয়। কিন্তু সভ্যতার উন্মেষকাল হতেই নারী-পুরুষের মর্যাদাগত বৈষম্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, মানব সভ্যতা ঐতিহাসিক যুগে (Historical
period) পদার্পণের পর একসময় মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থা গড়ে উঠলেও পরবর্তী পর্যায়ে
পুরুষগণ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার নিয়ন্তা হয়ে ওঠে। অথচ ইসলামে নারীর
স্বাতন্ত্রয ও মর্যাদাগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। ইসলাম পুত্রের তুলনায় কন্যাকে কোনাে অংশে
খাটো করে দেখেনি। মহানবী (স) ইরশাদ করেছেন, "যার কন্যা সন্তান আছে, সে তাকে
জীবিত কবর দেয়নি, তাকে দীনহীন ও লাঞ্ছিত করেও রাখেনি এবং পুত্রকে তার ওপর
প্রাধান্য দেয়নি, আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে স্থান দেবেন।" ইসলাম স্ত্রী হিসেবে
নারীকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছে। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, "নারীর ওপর
পুরুষের ষেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি নারীরও অধিকার রয়েছে পুরুষের ওপর।" ইসলাম
নারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান দিয়েছে মা হিসেবে। ইসলাম-পূর্ব যুগে নারীদেরকে সম্পত্তির
উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতাে; কিন্তু ইসলামী শরীয়তে নারীদের যথাযােগ্য মর্যাদাসহ
তাদের পৈতৃক ও স্বামীর সম্পত্তিতে নির্ধারিত অংশ দেয়া হয়েছে। ইসলাম নারীকে শিক্ষার
অধিকার দিয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্যও বিদ্যাশিক্ষা ফরয করা হয়েছে।
ইসলাম নারীকে অর্থনৈতিক প্রয়ােজনে যথাসম্ভব পর্দার সাথে উপার্জন কর্মে নিয়ােজিত
ইওয়ার অধিকারও প্রদান করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষ-নারী পরস্পরের প্রতিযােগী নয়;
বরং সহযােগী। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীকে যথাযােগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান
দেয়া হয়েছে।
Post a Comment