শিক্ষার উদ্দেশ্য একজন ব্যক্তিকে পূর্ণাঙ্গ ও সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তােলা। এ লক্ষ্য
অর্জনের জন্য মানুষের সুপ্ত গুণাবলির অনুশীলন ও উন্নয়ন ঘটানাে প্রয়ােজন। মানুষের আছে
শরীর ও মন। সুতরাং শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত উভয়টির উন্নতি সাধন করা। মানুষের মস্তিষ্কের
প্রচুর ক্ষমতা আছে এবং শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং এসব গুণাবলির
বিকাশ সাধন করা। রােগাক্রান্ত শরীরে মস্তিষ্ক উপযুক্তভাবে কাজ করতে পারে না।
কিন্তু শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সুস্থ শরীরে সুস্থ মন তৈরি করা। আর এটাই কেবলমাত্র পূর্ণাঙ্গ ও
সুখী মানুষ তৈরি করতে পারে। সুতরাং পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পদ্ধতিতে উদার, কারিগরি ও ভৌত
শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। উদারনীতিমূলক শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও
ভৌতবিজ্ঞান মনকে প্রশস্ত করে। কারিগরি শিক্ষা তাকে প্রাকৃতিক শক্তিকে জয় করতে সক্ষম
করে তােলে ও জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে। শারীরিক শিক্ষা তাকে সুস্বাস্থ্য দান করে।
এভাবে শিক্ষার সার্বিক লক্ষ্য হবে, সমাজের প্রয়ােজনে পূর্ণাঙ্গ আলােকিত মানুষ তৈরি ও
মানবতার অবাধ মুক্তি।
Post a Comment