HSC ICT: কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্বিতীয় অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে আপনারদের জানায় স্বাগতম...

Communication System, কমিউনিকেশন সিস্টেম
  1. প্রশ্ন: কমিউনিকেশন সিস্টেম (Communication system) কি?
  2. উত্তর: যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি আদান প্রদান করা হয় তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।
  3. প্রশ্ন: যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মৌলিক উপাদান কতটি ও কি কি?
  4. উত্তর: যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মৌলিক উপাদান পাঁচটি ১.উৎস(Source) ২.প্রেরক (Transmitter) ৩.মাধ্যম(Media) ৪.প্রাপক(Receiver) ৫.গন্তব্য (Destination)
  5. প্রশ্ন: ব্যান্ড উইড্থ(Band width) কি?
  6. উত্তর: এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ড উইড্থ বলে।
  7. প্রশ্ন: ব্যান্ড উইড্থ কত প্রকার এবং এদের স্পীড সীমা কত?
  8. উত্তর: ব্যান্ড উইড্থ তিন প্রকার:
    ১.ন্যারো ব্যান্ড(Narrow Band): স্পীড সর্বনিম্ন 45 bps থেকে সর্বোচ্চ 300 bps bpa পর্যন্ত।
    ১.ভয়েজ ব্যান্ড(Voice Band): স্পীড সর্বনিম্ন 45 bps থেকে সর্বোচ্চ 9600 bps পর্যন্ত।
    ১.ব্রড ব্যান্ড(Broad Band): স্পীড সর্বনিম্ন 1 mbps থেকে সর্বোচ্চ কয়েক gbps পর্যন্ত।
  9. প্রশ্ন: এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission) কি?
  10. উত্তর: যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা প্রেরক থেকে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেকটার ট্রান্সমিশন হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
  11. প্রশ্ন: সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission) কি?
  12. উত্তর: যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা প্রেরক থেকে গ্রাহকের নিকট প্রতিবারে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টারের একটি ব্লগ আকারে ট্রান্সমিশন হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
  13. প্রশ্ন: আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronous Transmission) কি?
  14. উত্তর: আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সন। রিয়েল টাইম অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফারের জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  15. প্রশ্ন: ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission mode) কি?
  16. উত্তর: এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা ট্রান্সমিট করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে।
  17. প্রশ্ন: ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission mode) কত প্রকার কি কি?
  18. উত্তর: ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission mode) তিন প্রকার:
    ১.একমুখী বা সিম্প্লেক্স মোড। ২.অর্ধ-দ্বিমুখী বা হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। ৩.উভয়মুখী মোড বা ফুল ডুপ্লেক্স মোড।
  19. প্রশ্ন: একমুখী (Simplex) মোড কি?
  20. উত্তর: যে পদ্ধতিতে শুধু এক দিকে ডেটা প্রেরণ করা যায় তাকে সিম্প্লেক্স মোড বলে। যেমনঃ রেডিও, টেলিভিশন।
  21. প্রশ্ন: অর্ধ-দ্বিমুখী(Half-Duplex Mode) কাকে বলে?
  22. উত্তর: যে পদ্ধতিতে উভয় দিকে ডাটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে, কিন্তু উভয় দিকে একটা সাথে ডেটা প্রেরণ সম্ভব হয় না, তাকে হাফ-ডুপ্লেক্স মোড বলে। যেমন: ওয়াকিটকি।
  23. প্রশ্ন: উভয়মুখী(Full-Duplex Mode) কাকে বলে?
  24. উত্তর: যে পদ্ধতিতে এক সাথে উভয় দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড বলে।
  25. প্রশ্ন: তারবিহীন মাধ্যম (Wireless Medium) কি?
  26. উত্তর: কোনো তার বা বৈদ্যুতিক কন্ডাক্টরের সাথে যুক্ত না হয়েও দুই বা ততোধিক ডিভাইসের মাঝে যোগাযোগ পদ্ধতিকে তারবিহীন মাধ্যম বলে।
  27. প্রশ্ন: বেতার তরঙ্গ(Radio Wave) কি?
  28. উত্তর: বেতার তরঙ্গ হলো এক প্রকার তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১মি.মি. থেকে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
  29. প্রশ্ন: মাইক্রোওয়েভ(Microwave) কি?
  30. উত্তর: মাইক্রোওয়েভ হলো এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ, যার দৈর্ঘ্য 0.3 GHz থেকে 300GHz পর্যন্ত।
  31. প্রশ্ন: স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ কি?
  32. উত্তর: স্যটেলাইট হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা যার জন্য উপগ্রহের সহায়তা নিতে হয়। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উপরে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ বসানো হয়।
  33. প্রশ্ন: WLAN কি?
  34. উত্তর: WLAN হলো Wireless Local Area Network এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১০০ মিটার অধিক দূরত্ব সীমার মাঝে WLAN কার্যকরী।
  35. প্রশ্ন: Wifi কি
  36. উত্তর: Wifi হচ্ছে একটি LAN ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা
  37. প্রশ্ন: মোবাইল (Mobile) শব্দের অর্থ কি?
  38. উত্তর: মোবাইল (Mobile) শব্দের অর্থ হলো ভ্রাম্যমাণ ব স্থানান্তর যোগ্য।
  39. প্রশ্ন: কে কখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন?
  40. উত্তর: মোটোরোলা কোম্পানিকে কর্মরত ড.মার্টিন কপার এবং জন ফ্রান্সিস নিচেল সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।
  41. প্রশ্ন: মোবাইল ফোনের প্রজন্ম ও সময়সীমা লেখ।
  42. উত্তর: প্রথম প্রজন্ম (1st Generation-1G) সময়সীমা: ১৯৭৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
    দ্বিতীয় প্রজন্ম (2nd Generation-2G) সময়সীমা: ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত।
    তৃতীয় প্রজন্ম (3rd Generation-3G) সময়সীমা: ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত।
    চতুর্থ প্রজন্ম (4th Generation-4G) সময়সীমা: ২০০৯-২০১৯ সাল পর্যন্ত।
    পঞ্চম প্রজন্ম ( 5th Generation-1G) সময়সীমা: ২০২০- বর্তমান পর্যন্ত।
  43. প্রশ্ন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (Computer Network) কি?
  44. উত্তর: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যাতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার এক সাথে যুক্ত থাকে।
  45. প্রশ্ন: নেটওয়ার্ক (Network) কি?
  46. উত্তর: একাধিক কর্মপদ্ধতি যখন পরস্পরের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলে তখন তাকে নেটওয়ার্ক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
  47. প্রশ্ন: দূরত্বের উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ লেখ।
  48. উত্তর: পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Personal Area Network-PAN)
    লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network-LAN)
    ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক (Campus Area Network-CAN)
    মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network-MAN)
    ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network-WAN)
    গ্লোবাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Global Area Network-GAN)
  49. প্রশ্ন: মডেম (Modem) কি?
  50. উত্তর: মডেম হলো এক ধরনের কমিউনিকেশন ডিভাইস যা তথ্যকে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে টেলিফোন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়।
  51. প্রশ্ন: হাব (Hub) কাকে বলে?
  52. উত্তর: দুয়ের অধিক কম্পিউটার এর মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য হবে হলো এক ধরনের কেন্দ্রীয় ডিভাইস।
  53. প্রশ্ন: রাউটার (Router) কি?
  54. উত্তর: একর কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা পাঠানোর প্রক্রিয়াকে রাউটিং বলে। এর রাউটিং এর জন্য যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে রাউটার বলে।
  55. প্রশ্ন: রিপিটার (Repiter) কি?
  56. উত্তর: নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত কোনো কম্পিউটারের দূরত্ব বেশি হলে কেবলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত সিগন্যাল সেখানে পৌঁছাতে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সিগন্যাল পুনরায় শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার হলো রিপিটার।
  57. প্রশ্ন: সুইচ (Switch) কি?
  58. উত্তর: নেটওয়ার্ক সুইচ হলো বহু পোর্ট বিশিষ্ট কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিভাইস যায় তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে।
  59. প্রশ্ন: নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) কি?
  60. উত্তর: একটি কম্পিউটারের সাথে অপর একটি কম্পিউটার যুক্ত করার কৌশলকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে।
  61. প্রশ্ন: নেটওয়ার্ক টপোলজি কত প্রকার কি কি?
  62. উত্তর: নেটওয়ার্ক টপোলজি ছয় প্রকার:
    ১. বাস টপোলজি(Bus Topology)
    ২. রিং টপোলজি(Ring Topology)
    ৩. স্টার টপোলজি(Star Topology)
    ৪. ট্রি টপোলজি(Tree Topology)
    ৫. মেস টপোলজি(Completely Connected Topology)
    ৬. হাইব্রিড টপোলজি(Hybrid Topology)
  63. প্রশ্ন: বাস টপোলজি(Bus Topology) কাকে বলে?
  64. উত্তর: যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবগুলো ডিভাইস যুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বা লিনিয়ার টপোলজি বলে।
  65. প্রশ্ন: রিং টপোলজি(Ring Topology) কাকে বলে?
  66. উত্তর: যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় একটি কম্পিউটারের সাথে অপর কম্পিউটার গুলো রিং এর মতো সাজানো থাকে তাকে রিং টপোলজি বলে।
  67. প্রশ্ন: স্টার টপোলজি(Star Topology) কাকে বলে?
  68. উত্তর: যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কম্পিউটার গুলো আকাশের তারার স্টাইলে যুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলে।
  69. প্রশ্ন: ট্রি টপোলজি(Tree Topology) কাকে বলে?
  70. উত্তর: যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কম্পিউটার গুলো গাছের শাখা প্রশাখার মতো যুক্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে।
  71. প্রশ্ন: মেশ টপোলজি(Completely Connect Topology) কাকে বলে?
  72. উত্তর: যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায়, নেটওয়ার্কের অধীনস্থ প্রতিটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলে।
  73. প্রশ্ন: হাইব্রিড টপোলজি(Hybrid Topology) কাকে বলে?
  74. উত্তর: একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে যে টপোলজি গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে।
  75. প্রশ্ন: ক্লাউড কম্পিউটিং(Cloud Computing) কি?
  76. উত্তর: ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেটভিত্তিক কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা ইন্টারনেট ও একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।


1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post