জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
মূলভাব: প্রাণ বা জীবজগৎ সৃষ্টিকর্তার প্রধানতম সৃষ্টি। এ প্রধানতম সৃষ্টির প্রতি সহিষ্ণুতা, প্রেম,
মায়া, মমতা প্রদর্শন করে সহজেই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব। তাই যে ব্যক্তি সৃষ্টি
জীবজগতের সেবা করবে, সে ঈশ্বরেরই সেবা করবে। সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ সৃষ্টির সেরাজীব। সেরাজীব হিসেবে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়েছেন, দিয়েছেন বিবেচনা শক্তি। এসব থেকে অন্যান্য জীব পুরােপুরিভাবে বঞ্চিত। তাই তাদের অবহেলার চোখে দেখা উচিত নয়। তাদের লালন-পালন ও দেখাশুনার দায়িত্ব মানুষের। নইলে মানুষের মাঝ থেকে সহিষ্ণুতাবােধ ও সহনশীলতার নীতি অচিরেই হারিয়ে যাবে। ভালােবাসতে শেখা ও ভালােবাসতে জানার মধ্যে মানুষের মনুষ্যত্ব বিদ্যমান। এ মনুষ্যত্ব দিয়ে অন্যান্য জীবের সেবা করতে হবে। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির ধ্বংস চান না। কিন্তু মানুষ যদি নির্বিচারে জীবহত্যা চালিয়ে যায়, তাহলে একদিন অচিরেই জীববৈচিত্র্য পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। তাই সৃষ্টিকর্তা জীবের সেবার প্রতি বিশেষ গুরুতব প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, জীবের সেবার মাধ্যমেই তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব।
মন্তব্য: জীবকে সেবা করার মাধ্যমেই মানুষ পারে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভ করতে। এ মহৎকর্ম সাধনে সকলের ব্রতী হওয়া উচিত। এতেই মানুষের মঙ্গল নিহিত রয়েছে।
Post a Comment