সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত।
মূলভাব:
প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তব জীবনের বিচিত্র প্রেক্ষাপট থেকে অর্জিত শিক্ষাই সুশিক্ষা। সম্প্রসারিত ভাব: জ্ঞানার্জনই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য। কিন্তু শুধু প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। প্যাপ্ত জ্ঞানার্জন ব্যতীত কেউ সুশিক্ষিত হতে পারে না। তাই সুশিক্ষিত হতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও বাস্তবধর্মী শিক্ষা অর্জন করতে হবে। কিন্তু প্রকৃতি থেকে শিক্ষালাভ সহজ ব্যাপার নয়। প্রকৃতি থেকে কিছু শিখতে হলে প্রয়োজন কঠোর সাধনা ও নিরলস পরিশ্রম। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের প্রথাগত উচ্চতর ডিগ্রি আছে, কিন্তু দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে তারা কিছুই করতে পারেনি। কারণ তাদের এসব ডিগ্রি সুশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত ছিল না। অন্যদিকে অনেক স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দেশ, জাতি তথা বিশ্বমানবের কল্যাণে অনেক কিছু করে গেছেন। এ প্রসঙ্গে অ্যারিস্টটল, সক্রেটিস, প্লেটো, নিউটন, গ্যালিলিও, নজরুল প্রমুখের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এরা মরেও যেন মরেননি। তাঁরা সবাই ছিলেন স্বশিক্ষিত।
মন্তব্য: দেশ ও জাতি তথা মানবজাতির সার্বিক কল্যাণের জন্য আমাদের সকলের স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া উচিত।
Post a Comment