স্পষ্টভাষী শত্ৰু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।
মূলভাব:
স্পষ্টবাদী শত্ৰু দ্বারা অসংযমশীল শত্রুতার আবির্ভাব ঘটে না। কিন্তু নির্বাক মিত্র সকল সমস্যাকেই জটিলতার রহস্যে নিমজ্জিত রাখে। সম্প্রসারিত ভাব: স্পষ্টবাদিতা জীবনে সকল প্রকার ভুল-ভ্রান্তির অবসান ঘটায়। স্পষ্টবাদী ব্যক্তি যথার্থ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সে যদি শত্ৰু হয়, তবুও সে একটি মহত্গুণের অধিকারী। সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের অসামঞ্জস্য প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে স্পষ্টবাদী শত্রুর বিবৃতি থেকে। স্পষ্টবাদী শত্রুর কথা ও কাজ মিত্রপক্ষের কাছে অসহনীয় হলেও তা মিত্রপক্ষের পথ প্রদর্শনের পাথেয় হিসেবে কাজে আসে। কিন্তু নির্বাক মিত্র কখনোই মিত্রপক্ষের নানা অসামঞ্জস্য ও ভুলক্রটি সম্বন্ধে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে না। এমনকি অন্যায়-অত্যাচার সম্বন্ধে বিরুদ্ধাচরণ করার ক্ষেত্রেও তাকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। স্পষ্টবাদী শত্ৰু একটি মহৎ গুণের অধিকারী। স্পষ্টবাদিতার অধিকারী বলে তাকে প্রকৃত সাহসী হিসেবে আখ্যা দেয়া যেতে পারে। আবার নির্বাক মিত্র স্পষ্টবাদী নয় বলে সে ভীরু। আর ভীরুরা সর্বদাই ঘৃণিত ও উপেক্ষিত।
মন্তব্য: স্পষ্টবাদী শত্ৰু ও নির্বাক মিত্রের মধ্যে একটি বিরাট পার্থক্য সহজেই পরিলক্ষিত হয়। একজন প্রকাশ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী আর অপরজন বর্ণচোরা ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এ পার্থক্যকে সামনে রেখেই আমরা বলতে পারি, স্পষ্টবাদী শত্রু নিশ্চুপ মিত্র অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।
Post a Comment