ভাব সম্প্রসারণ: পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসৃতি

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসৃতি।

ভাব সম্প্রসারণ, Expansion of Thought
মূলভাব: একমাত্র পরিশ্রমই সার্বিক সাফল্যের মূল উৎস। পরিশ্রম ব্যতীত ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে পারে না। সৌভাগ্যের দুয়ার খুলে দিতে পারে পরিশ্রম।
সম্প্রসারিত ভাব: মানব জীবন কর্মমুখর। এখানে জয়ী হতে গেলে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করতে হবে। বিনা পরিশ্রমে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ অসম্ভব। উপযুক্ত পরিশ্রম করলে কোনো শক্ত কাজে বা যে কোনো দুরূহ বিষয়েও সাফল্য অর্জিত হয়ে থাকে। সম্পদ, বিদ্যা, স্বাস্থ্য, সম্মান কিছুই পরিশ্রম ব্যতিরেকে লাভ করা যায় না। ছোট মৌমাছি রাতদিন পরিশ্রম করে ফুলে ফুলে মধু আহরণ করে বেড়ায়। মধুপান করার জন্য সে অনেক পরিশ্রম করে।কাজেই সৌভাগ্যের জন্মদাত্রী হলো পরিশ্রম। কৃষক কঠোর পরিশ্রম করে ফসল ফলায়।বিজ্ঞানী রাতদিন ক্লান্তিহীন গবেষণার সিঁড়ি বেয়ে আবিষ্কার করে মহান বিষয়। আজ যে সভ্যতার জন্য মানুষ গর্ববোধ করে, সে তো তার অবিরাম পরিশ্রমেরই ফসল। মানুষের সভ্যতাকে আধুনিক উন্নত অবস্থায় পৌছে দিতেও বহু লোকের প্রাণপণ পরিশ্রমের দরকার হয়েছে। তাই মানুষকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হয়। এজন্যই বলা হয়, সৌভাগের প্রসূতি"। বিজ্ঞানী নিউটন বলেন, "সাফল্যের দু'ভাগ প্রতিভা আর আটানকবই ভাগই কঠোর পরিশ্রম।" সাফল্য স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোনো শিশির বিন্দু নয়। ক্লান্তি হীন পরিশ্রমের পথ ধরেই সৌভাগ্যময় সাফল্যের আবির্ভাব ঘটে। সুতরাং পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।
মন্তব্য: ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- Industry is the key to success. অথাৎ পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম, ছাড়া ব্যক্তিগত উন্নতি যেমন সম্ভব নয়, তেমনি জাতিগত উন্নতিও অসম্ভব।


Post a Comment

Previous Post Next Post