অনুচ্ছেদ রচনা: ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)
'ঈদ' শব্দের অর্থ আনন্দ, যা বারবার ফিরে আসে। মিলাদ অর্থ জন্মদিন। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ হলাে মহানবী (স)-এর জন্ম উৎসব। নবীজীর জন্মদিন ১২ রবিউল আউয়াল। এ দিনে মুসলিম মিল্লাত সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হওয়ার আনন্দে আত্মহারা হয়ে তাঁর শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এ পৃথিবীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আলাের দিশারি রাসূলে আকরাম (স)-এর আগমনে আল্লাহ্র দ্বীন ইসলামের পূর্ণতা ঘটে। পথহারা মানুষ খুঁজে পায় সিরাতুল মুস্তাকিমের দিশা। নবীপ্রেমে উদবুদ্ধ হয়ে তাই মুসলিম জাতি পালন করে এ মহা উৎসব। এটা নবীপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ঈদে মিলাদুন্নবী (স) মুসলিম বিশ্বে নবজাগরণের বার্তা নিয়ে আসে। আসে মুসলিম ঐতিহ্য জানার প্রেরণা নিয়ে। মুসলমানগণ নতুন করে মহানবী (স)-এর জীবনী জানার চেষ্টা করে। ফলে জীবনকে পুনর্গঠন করতে পায় নতুন দিকনির্দেশনা। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে মিলাদুন্নবী (স) নিছক অনুষ্ঠান পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মিলাদুন্নবীর আসল চেতনা থেকে বর্তমান মুসলিম সমাজ অনেক দূরে রয়েছে। মহানবী (স) কেন দুনিয়াতে আগমন করেছিলেন এবং তাঁর রেখে যাওয়া দায়িত্ব কী? সে সম্পর্কে উদাসীন থেকে কেবল দোয়া-দরূদের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে তাঁর জন্মদিন পালন সীমাবদ্ধ রাখলে এর উদ্দেশ্য হাসিল হবে না; বরং এ দিনে রাসূলের সীরাত আলােচনার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে একে নিছক একটি দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সারা বছর স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করলেই কেবল মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান পালন সার্থক হবে।


Post a Comment

Previous Post Next Post