উৎসবের দিনকে বলা হয় 'ঈদুল আযহা। ইসলামে কুরবানি প্রথা সর্বপ্রথম চালু হয় আদি
পিতা হযরত আদম (আ)-এর সন্তান হাবিল ও কাবিলের ঘটনার মধ্য দিয়ে। আদম (আ)-
এর নির্দেশে তারা উভয়েই কুরবানি পেশ করলেন। কিন্তু তাদের একজনের কুরবানি
আল্লাহর নিকট গৃহীত হয়। কুরবানির যুগান্তকারী প্রথার বিকাশ ঘটে হযরত ইবরাহীম
(আ)-এর স্মৃতিকে কেন্দ্র করে। আল্লাহর প্রিয়বন্ধু ও নবী হযরত ইবরাহীম (আ)-কে আল্লাহ
স্বপ্নে তাঁর প্রিয়পুত্রকে আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ অনুসারে
কুরবানি করতে গিয়ে তিনি কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তখন থেকেই তাঁদের ত্যাগের
অবিস্মরণীয় স্মৃতিকে কেন্দ্র করে মুসলিম সমাজে কুরবানি বা ঈদুল আযহা উদ্যাপিত হয়ে
আসছে। কুরবানির পশুর গােশত বণ্টন ও আহারের মাধ্যমে ধনী ও গরিবের মাঝে
ভ্রাতৃত্ববােধ, সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়; যা আদর্শ সমাজ গঠনে সাহায্য করে। কুরবানির
দিন মুসলিম জাতি আল্লাহর আদেশ পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশু কুরবানি করে। এতে
তাওহীদের প্রসার ঘটে।
Post a Comment