'ঈদ' শব্দটি আরবি। অর্থ- খুশি বা আনন্দ। গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব
হচ্ছে এই ঈদ। বছরে দু'দিন ঈদ উৎসব পালন করা হয়। তা হচ্ছে- ক. ঈদুল ফিতর, খ.
ঈদুল-আযহা। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির সাধনায় উত্তীর্ণ হওয়ার
আনন্দে এবং সংযম, ত্যাগ, আত্মগঠন ও জাতিগঠনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রমজানের পর ১
শাওয়াল বিশ্বমুসলিম যে ঈদ পালন করে তা-ই ঈদুল ফিতর। এ দিন বাংলার ঘরে ঘরে
প্রতিধ্বনিত হতে থাকে"ও মন রমজানেরই রােযার শেষে এলাে খুশির ঈদ।" ঈদুল
আযহা হলাে ত্যাগের উৎসব। এ দিনের সাথে জড়িয়ে আছে আত্মােৎসর্গের এক ত্যুজ্জ্বল
ঘটনা। হযরত ইবরাহীম (আ) আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাঁর আদেশে প্রিয় পুত্র
ইসমাঈল (আ)-কে কুরবানি করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। ভক্তি ও ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হন ইবরাহীম (আ)। অতঃপর ইসমাঈল (আ)-এর পরিবর্তে আল্লাহর নির্দেশে তিনি একটি
দুম্বা কুরবানি করলেন। এরপর থেকে মুসলমানগণ হযরত ইবরাহীম (আ)-এর আদর্শ
অনুসরণে এ দিনে ঈদুল আযহা পালন করে থাকে। ঈদ উৎসবের মাধ্যমে সাম্যের বাণী
উচ্চারিত হয়। ধনী-দরিদ্র, আমীর-ফকির সকলে ভেদাভেদ ভুলে একই সাথে মহান
আল্লাহকে সেজদা করে। এর মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, সাহায্য ও সম্প্রীতির
দিগন্ত প্রসারিত হয়। সংযম ও ত্যাগের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে
ওঠে। ভ্রাতৃত্বের যে শিক্ষা ইসলাম দিয়েছে, এ দিনে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটে। ঈদের
মূলবাণী হলাে সাম্য, ন্যায়, ত্যাগ ও কুরবানি। আমরা ঈদের দিন যেভাবে একে অপরে।
প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করি সেরূপ যদি সারা বছর করি, তাহলে সত্য ও সুন্দরের হাসিতে ভরে উঠবে গােটা মুসলিম বিশ্ব।
J
ReplyDeletePost a Comment